উজ্জ্বল, চকচকে আর নিখুঁত ত্বক কে না চায়? সুন্দর ত্বক পেতে আমরা কত রকমের পন্থাই না অবলম্বন করি। যেমন স্কিন ট্রিটমেন্ট, স্কিন কেয়ার রুটিনে বিভিন্ন স্টেপ, ঘরোয়া টোটকা, ফেসিয়াল আরও কত কী! তবে, ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি না থাকলে এই সব কৌশল আরও কার্যকর হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলেই ত্বক হয়ে উঠবে ফ্ললেস। ত্বকের চকচকে ভাব ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কিছু বিশেষ খাবার আমাদের ডায়েটে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে ত্বকের জন্য উপকারী ১০টি খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ত্বকের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
১. টমেটো
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: টমেটোতে আছে ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে ও ত্বক সুন্দর রাখে।
বয়সের ছাপ কমায়: টমেটোতে পাওয়া যায় ভিটামিন বি যেমন বি ওয়ান, বি থ্রি, বি পাইভ, বি সিক্স এবং বি নাইন। এই ভিটামিনগুলো ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বলিরেখা, ভাঁজ, বয়সের দাগ, চোখের চারপাশের দাগ, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি থেকে টমেটো ব্যবহারের মাধ্যমে রক্ষা পাওয়া যায়।
২. পানি
ত্বক ভালো রাখতে বেশি করে পানি পান করার বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি শরীরে চিনি জমতে দেয় না। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষে পানি পৌঁছায় এবং ত্বক সজীব দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।
৩. লেবু জাতীয় ফল
লেবু, কমলা, মোসাম্বি, জাম্বুরা, মাল্টা এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন কার্যকরী। এতে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনস যা স্কিনকে হাইড্রেটেট রাখে এবং ন্যাচারালি স্কিনটোন ব্রাইট করতে সাহায্য করে। মেলানিন কমিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল করতে লেবু জাতীয় ফল বেশ ভালো কাজ করে।
৪. শসা
শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি আর ভিটামিন কে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে হেলদি ও গ্লোয়িং। বয়সের ছাপ বা বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে শসা দারুণ কার্যকরী। এছাড়া শসা ত্বকের কুলিং ইফেক্ট প্রদান করে যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
৫. মাছ
ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা চাইলে প্রতিদিনের খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ রাখা ভালো। এই অ্যাসিড চেহারায় বয়সের গতি ধীর করে এবং প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখে। ওমেগা থ্রি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান যা ব্রণ দূর করে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে ওমাগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উপকারী।
৬. ফল
কলা: কলা ত্বক ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন-এ রয়েছে যা ত্বকের মলিনভাব দূর করতে সাহায্য করে।
আপেল: আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এ, সি আর অন্যান্য দরকারি নিউট্রিয়েন্ট। আনইভেন স্কিনটোন রিপেয়ার, হেলদি গ্লো ধরে রাখতে এবং ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত দেখাতে আপেল দারুন কাজ করে।
৭. ইয়োগার্ট / টকদই
ত্বকের বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যার সাথে অন্ত্রের বা গাটের একটি সম্পর্ক আছে। টকদইয়ে আছে বিভিন্ন ধরণের প্রোবায়োটিকস যা হজমে সাহায্য করে। স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান দেয় এটি। ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, ব্রেকআউটের সমস্যা কমিয়ে স্কিনকে করে উজ্জ্বল ও লাবন্যময়।
৮. মশলা
দারচিনি: ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। ব্রণ-ফুসকুড়ি রোধেও দারুচিনি কার্যকর।
জিরা: জিরায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। শরীরে দুষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জিরা রাখা উচিত।
৯. গ্রিন টি
শরীরকে ডিটক্স করার জন্য গ্রিন টি একটি দারুন উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং Phytonutrient যা স্কিনকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা দেয়। ডার্ক স্পট কমাতে এবং অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে গ্রিন টি দারুন কার্যকরী।
১০. গাজর
গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা স্কিনের আউটার লেয়ারে কোষের বৃদ্ধি করে, হেলদি স্কিন সেলসকে প্রোমোট করে এবং ত্বককে স্মুথ রাখে। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা ড্যামেজড কোলাজেন রিস্টোর করে। সহজলভ্য ও সহজেই ডায়েটে অ্যাড করা যায় গাজর।
আরও কিছু উপকারী খাবার
১১. বাদাম
বাদাম ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস। এটি ড্যামেজড স্কিন সেলসকে রিপেয়ার করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। স্নেহজাতীয় খাবার ত্বককে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখে। এতে থাকা লিনোলেইক অ্যাসিড ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কভাব কমিয়ে ফেলে।
১২. পালং শাক
পালং শাকে আছে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন যা স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। পালং শাকে আরো আছে ভিটামিন এ, ই, কেঃ যা স্কিনকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো স্কিনের তারুণ্য বজায় রাখে এবং বার্ধক্যের ছাপ পরার প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করে।
১৩. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ফ্লাভানল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর রাখতে কার্যকরী। কোকোয়া বিন স্কিনকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি অকালবার্ধক্য রোধ করে। পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে ত্বক সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি হার্টও ভালো থাকে।
১৪. পেঁপে
পেঁপে ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এতে প্যাপাইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে। এছাড়া পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা কমায়। পেঁপে হজমেও সহায়ক, যা স্কিনের জন্য ভালো।
১৫. মধু
মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। মধুতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।
১৬. বাদামের দুধ
বাদামের দুধ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। এছাড়া বাদামের দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে।
১৭. ব্রোকলি
ব্রোকলি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ত্বককে দৃঢ় ও মসৃণ রাখে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
১৮. আভোকাডো
আভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। আভোকাডোতে থাকা ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। এছাড়া আভোকাডো ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করে।
১৯. বীট
বীটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আয়রন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
২০. ডিম
ডিম ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। এতে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং বায়োটিন রয়েছে, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ভিটামিন এ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। বায়োটিন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং ত্বকের বলিরেখা কমায়।
২১. মাশরুম
মাশরুমে রয়েছে সেলেনিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ডি, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সেলেনিয়াম ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ডি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
২২. বাদামের তেল
বাদামের তেল ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। এতে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। বাদামের তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। এছাড়া বাদামের তেল ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করে।
২৩. জাম
জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ত্বককে দৃঢ় ও মসৃণ রাখে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে।
২৪. বেদানা
বেদানাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে। এছাড়া বেদানা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
২৫. রসুন
রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে। এছাড়া রসুন ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে।
২৬. ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ত্বককে দৃঢ় ও মসৃণ রাখে। এছাড়া ক্যাপসিকাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
২৭. তিলের বীজ
তিলের বীজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া তিলের বীজ ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
২৮. খেজুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে।
২৯. আঙুর
আঙুরে রয়েছে রেসভেরাট্রল নামক একটি উপাদান যা ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া আঙুরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আঙুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
৩০. কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণের সমস্যা দূর করে। কুমড়ার বীজ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।
ত্বকের যত্নে খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব
ত্বকের যত্নে খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা সরাসরি ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। সঠিক পুষ্টির অভাবে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ এবং মলিন হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাবারে পুষ্টিকর উপাদান যোগ করা উচিত।
ত্বকের যত্নে কিছু পরামর্শ
- সুষম খাদ্যাভ্যাস: ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্নেহজাতীয় খাবার যোগ করা উচিত।
- পর্যাপ্ত পানি পান: ত্বক হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এটি ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- প্রাকৃতিক ফ্যাট: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে প্রাকৃতিক ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন: মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল।
- সান প্রোটেকশন: ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, তাই বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
অন্যান্য টিপস
ত্বকের যত্নে খাবারের পাশাপাশি কিছু জীবনধারার পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করে ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব। তাই সুস্থ জীবনযাপন ও সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তবেই পাবেন সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বক।
শেষকথা
সুন্দর ত্বকের জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়মিত ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। ত্বকের যত্নে বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি ভেতর থেকে পুষ্টি যোগানোর দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। ত্বকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সঠিক খাবার বেছে নিন এবং ত্বককে দিন প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও সজীবতা।