কোটা সংস্কার দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে, এসময় ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেসময় বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, এবং বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসের ১৬ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত এই সহিংসতায় অন্তত ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তবে কোনো পত্রিকাই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানায়নি।
১৮ জুলাই ২০২৪ রাত ৮টার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। তবে ২২ জুলাই দেশের আংশিক স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলে দেশের প্রথম সারির কিছু পত্রিকা খবর প্রকাশ করে। এসব পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের সংখ্যা নিম্নরূপ:
- ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার): ৬ জন
- ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার): ৪১ জন
- ১৮ জুলাই (শুক্রবার): ৮৪ জন
- ১৯ জুলাই (শনিবার): ৩৮ জন
- ২০ জুলাই (রবিবার): ২১ জন
- ২১ জুলাই (সোমবার): ৫ জন
- ২২ জুলাই (মঙ্গলবার): ২ জন
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি এবং স্বজনদের সূত্রে পাওয়া গেছে। তবে সব হাসপাতালের তথ্য পাওয়া যায়নি এবং অনেক হাসপাতালের ডেথ রেজিস্টার গোয়েন্দারা নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। ফলে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।